রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা কমে যায় এবং আঘাত বা ক্ষত সারতে সময় লাগে।

এতে হঠাৎ রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, ত্বকে দাগ এবং বারবার সংক্রমণের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গু, ভাইরাল সংক্রমণ বা বোন ম্যারো সমস্যার কারণেও প্লাটিলেট কমে যেতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, সঠিক খাবার ও জীবনযাপনের মাধ্যমে অনেক সময় প্লাটিলেট স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

নিচে এমন কিছু উপকারী খাবার ও অভ্যাস তুলে ধরা হলো—

ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন-সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং প্লাটিলেটকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কমলা, লেবু, কিউই, পেঁপে,

স্ট্রবেরি ও বেল পেপার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে উপকার পাওয়া যায়।

ফোলেট–সমৃদ্ধ খাবার (Vitamin B-9)

ফোলেট কোষ বিভাজন এবং নতুন প্লাটিলেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পালং শাক, শিম, মুসুর ডাল, বিট এবং

অ্যাভোকাডো নিয়মিত খেলে প্লাটিলেটের ঘাটতি কমে।

ভিটামিন বি–১২ ও আয়রন

শরীরে ভিটামিন বি–১২ বা আয়রনের ঘাটতি থাকলে প্লাটিলেট কমে যেতে পারে। এজন্য ডিম, মাছ, মুরগির মাংস,

কুমড়ার বীজ ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে।

পেঁপে পাতার রস

বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ী, পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। তবে কাঁচা পাতা সরাসরি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

বাজারে পাওয়া প্রস্তুত রস ব্যবহারই তুলনামূলক নিরাপদ—তাও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

পর্যাপ্ত পানি ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা

শরীর hydrated থাকলে রক্তের ভলিউম ঠিক থাকে এবং বোন ম্যারো স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম ও

হালকা ব্যায়াম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে। অ্যালকোহল কমানোর পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা।

উপসংহার

প্লাটিলেট কমে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক খাবার, নিয়মিত পানি পান, বিশ্রাম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চললে

অনেক সময়ই অবস্থার উন্নতি হয়। তবে দীর্ঘদিন প্লাটিলেটের মাত্রা কম থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।